অবশেষ দাস
তোমার জ্যোৎস্না রঙের শাড়ি দৌড়ে আসে হাওয়া
গঙ্গা থেকে ইউফ্রেটিস তোমার চোখের দাওয়া।
তোমার কপাল কুমকুমে টিপ একটি তারার মতো
নম্রতা আর বিনয় নিয়ে গৌতমে সংযত।
তোমার সুগন্ধিময় খোঁপা রাতের মতো খোলা
তোমার চোখে হিজল ছায়া মন্দাক্রান্তা দোলা!
তোমার বুকে জলপ্রপাত নূপুর বাজে পায়ে
উপন্যাসের মেঘ লিখেছে দ্বীপান্তরের গাঁয়ে।
সরস্বতী মেঘমল্লার তোমার কুসুম ঠোঁটে
আষাঢ় মাসের সন্ধ্যা এলে রবিঠাকুর ফোটে।
তোমার চর্যাচর্য নীলচে নাভির পাশে
বিদ্যাধরীর কূল ছাপানো আশ্বিন হেঁটে আসে !
তোমার কাস্তে বাঁকা কটি দলবৃত্তের লয়ে
ইছামতির ঢেউ লিখেছে সংশয়ে সংশয়ে।
তোমার ছাতিম ছাতিম ঘ্রাণে পাইন-হৃদয় আছে
মেঘমল্লার উজান থেকে মহাকালের কাছে।