চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী
প্রকৃতি যে ভাবে সুজন হয় অভাবির সংসারে
তেমন ভাবে আর মানুষ তাকায় না মানুষের দিকে।
অভিযোগ গুলি বড়ই ক্লান্ত পড়শীর উঠোন জুড়ে
তাই আর নৌকো বিহারি নামি না ছুঁয়ে নিতে স্বর্গ-উদ্যান।
তুলুসিপাতার চিবুক ছুঁয়ে সতেজ বাতাস গাভীন হয়
শঙ্খের মিঠে সুর শুনে ফিরে আসে রোদ্দুর হাত
মাদুরে আমরা কজন অপেক্ষা করি,ঝোলা খুলে
তুলেনি টলটলে শান্তির অবগাহন।
কিশোরী নাকের নাকছাবির মতো হলুদ ফুলে
প্রজাপতির প্রমোদ দেখতে দেখতে
আমন ধানের শাড়ির আঁচলে শিশির যেমত চুমকিতে ঠিকরে পড়া নদী বুকে জল তরঙ্গের উচ্ছ্বাস।
পড়ো জমি গুলি থাকতে দাও,থাকতে দাও পাখিদের মতো সাবলীল
আহা শুষনি শাক,এসো ঝুড়িতে ভরে নিয়ে যাই আলো
ঘুম নিবিড় হলে চোখের পাতায় চুমু পাড়ে স্বপ্নের কোস্তুরি-মৃগ।
ধানের ফুলে ফুলে আমোদে দুলছে,সে কি শারদোৎসব
আহা কি প্রশান্তি আগমনী সানাইয়ের সুরে সুরে।


