চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী
ভাত-ঘরের দিক থেকে তেমন খ্যাতিমান নয়
যা আসে তা দিয়েই দিব্যি কেমন অভিমান শূন্য হয়ে
জল ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে যায় নৌকো
পাখির গান পুটুস ফুলের ঠোঁটে আলোর ঝিলিক
গড়িয়ে পড়া ঝর্ণা নেচে উঠে উৎসাহ দেবার আনন্দে।
বসতে দাও ধুলোর আসনে,বসতে দাও বস্তা বিছিয়ে
অথবা কোন ঘাস জমির নাভিতট
ভীষণ কাছাকাছি হই,ভাবি বিভাজন রেখা প্রকট হলে
যে শালিখ এসে আমার হাতে দিয়ে গেল ধানের ঘ্রাণ
সে কি কখনো বসতো আমার পাশে।
বড়ই সৌভাগ্যবান আমি
রাস্তায় নামলে বৃষ্টি আমাকে ভেজায়,জ্যোৎস্না আমাকে শান্তি দেয় অপূর্ব নিক্কনে
মাটি আমাকে টানে প্রেমের সবুজায়নে,
আসলে কবিকে যেখানেই বসতে দাও না কেনো
সে খানটাই বোধিবৃক্ষের তল হয়ে যায়
পাঠক শাখা প্রশাখা পত্র পুষ্প হয়ে ঝুমঝুমি বাজায়।